7:07 am, Sunday, 8 September 2024

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১২৪

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১২৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা ও হাইটেক ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন এবং বরিশাল বিভাগের ২৮ জন।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে নেয়া হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। তবে কতজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তা এখনো জানানো হয়নি।

সংস্থাটি জানায়, সরকারি কলেজ, পিটিআই, সরকারি মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি কারিগরি কলেজ বা মাদরাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে তিন বিভাগের প্রতিটি কেন্দ্রে, অর্থাৎ ৫৩৫টি কেন্দ্রেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৯টার মধ্যে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক মনীষ চাকমা বলেন, আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত যে তথ্য এসেছে, তাতে রংপুরে ৯৬ ও বরিশালে ২৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। তবে সিলেট বিভাগের কোথাও গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, পরীক্ষা খুব সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। বলা যায়, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। তবে অসাধু-প্রতারকচক্র তো থাকেই। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা খুব তৎপর ছিলেন। ফলে যারাই জালিয়াতির চেষ্টা করেছেন, তারা কেউ ছাড় পাননি। তাদের পাকড়াও করা হয়েছে।’

কিছু পরিদর্শক ‘লোভে পড়েছিলেন’ স্বীকার করে মনীষ চাকমা বলেন, জেলাপর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যারা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের কেউ কেউ হয়তো লোভে পড়েছিলেন। তারাই হয়তো প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন বা পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে জালিয়াতি করে কেউ পরীক্ষা দিতে পারেনি। আগেই সবাইকে ধরে ফেলা হয়েছে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.
Popular Post

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১২৪

Update Time : 08:52:47 am, Saturday, 9 December 2023
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১২৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা ও হাইটেক ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন এবং বরিশাল বিভাগের ২৮ জন।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে নেয়া হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। তবে কতজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তা এখনো জানানো হয়নি।

সংস্থাটি জানায়, সরকারি কলেজ, পিটিআই, সরকারি মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি কারিগরি কলেজ বা মাদরাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে তিন বিভাগের প্রতিটি কেন্দ্রে, অর্থাৎ ৫৩৫টি কেন্দ্রেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৯টার মধ্যে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক মনীষ চাকমা বলেন, আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত যে তথ্য এসেছে, তাতে রংপুরে ৯৬ ও বরিশালে ২৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। তবে সিলেট বিভাগের কোথাও গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, পরীক্ষা খুব সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। বলা যায়, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। তবে অসাধু-প্রতারকচক্র তো থাকেই। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা খুব তৎপর ছিলেন। ফলে যারাই জালিয়াতির চেষ্টা করেছেন, তারা কেউ ছাড় পাননি। তাদের পাকড়াও করা হয়েছে।’

কিছু পরিদর্শক ‘লোভে পড়েছিলেন’ স্বীকার করে মনীষ চাকমা বলেন, জেলাপর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যারা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের কেউ কেউ হয়তো লোভে পড়েছিলেন। তারাই হয়তো প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন বা পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে জালিয়াতি করে কেউ পরীক্ষা দিতে পারেনি। আগেই সবাইকে ধরে ফেলা হয়েছে।