ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার জন্য দায়ী উগ্রপন্থীদের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি সেটেলার বা বসতি স্থাপনকারীদের পরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে তিনি এ ব্যবস্থা নিয়েছেন। যদিও এ নিষেধাজ্ঞা সহিংসতার জন্য ফিলিস্তিনি কেউ অভিযুক্ত হলে তার জন্যও প্রযোজ্য হবে।
গত সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন এ নিষেধাজ্ঞা উগ্রপন্থী কয়েক ডজন ইসরায়েলি ও তাদের পরিবারের কিছু সদস্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। তবে কাদের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে সেটি আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ পদক্ষেপকে বসতি স্থাপনকারীদের প্রতি ইসরায়েল সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সিনিয়র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ও বেজালেল স্মতরিচ – দু’জনেই এর আগে পশ্চিম তীরের সহিংসতাকে আড়াল করার চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এই দুই মন্ত্রী নিজেরাও সেটেলার।
গত কয়েক সপ্তাহে পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা বিবিসিকে জানাচ্ছিল যে ইসরায়েলি সেটেলাররা আরও ভূমি দখলের জন্য গাজার যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুসালেম ও পশ্চিম তীরে দখলে নেয়ার পর থেকে অন্তত আড়াইশ সেটেলমেন্ট বা বসতি নির্মাণ করেছে ইসরায়েল, যেখানে সাত লাখেরও বেশি ইহুদি বসবাস করে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশই এভাবে বসতি নির্মাণকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অবৈধ মনে করে। যদিও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করে না।
জাতিসংঘ বলছে গত সাতই অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ৩১৪টি হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে তারা। এতে ফিলিস্তিনি হতাহত হওয়া ছাড়াও ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের হাতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছে।