০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জন্মের পরই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া কি ঠিক

Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯১৯ Time View

শিশুদের চুল কাটা নিয়ে অভিভাবকের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। নবজাতকের ক্ষেত্রে চিন্তা আরও বেশি। মনে রাখতে হবে, শিশুর শরীরের একটি বড় অংশ তার মাথা। মাথার চুল এই অংশকে ঢেকে রাখে, যার কারণে শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ সহজে বের হয়ে যেতে পারে না। চুলের মাধ্যমে শিশুর শরীরে তাপমাত্রা বজায় থাকে। তাই বলা হয়, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া ঠিক নয়।

এতে হঠাৎ শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ বের হয়ে দেহের তাপমাত্রা কমে বিপদ হতে পারে। অনেক সময় মনে করা হয়, মায়ের গর্ভে থাকাকালে শিশুর চুলে যে আঠালো পদার্থ লেগে থাকে, তা পরিষ্কার করার জন্য শিশুর চুল কাটা প্রয়োজন। কিন্তু ওই আঠালো পদার্থ

শিশুদের চুল কাটা নিয়ে অভিভাবকের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। নবজাতকের ক্ষেত্রে চিন্তা আরও বেশি। মনে রাখতে হবে, শিশুর শরীরের একটি বড় অংশ তার মাথা। মাথার চুল এই অংশকে ঢেকে রাখে, যার কারণে শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ সহজে বের হয়ে যেতে পারে না। চুলের মাধ্যমে শিশুর শরীরে তাপমাত্রা বজায় থাকে। তাই বলা হয়, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া ঠিক নয়।

এতে হঠাৎ শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ বের হয়ে দেহের তাপমাত্রা কমে বিপদ হতে পারে। অনেক সময় মনে করা হয়, মায়ের গর্ভে থাকাকালে শিশুর চুলে যে আঠালো পদার্থ লেগে থাকে, তা পরিষ্কার করার জন্য শিশুর চুল কাটা প্রয়োজন। কিন্তু ওই আঠালো পদার্থ প্রকৃতপক্ষে বাইরের বিরূপ আবহাওয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করে। এটি শিশুর দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, শিশুর দেহ সহজে ঠান্ডা হয়ে যায় না। শিশুদের মস্তিষ্ক তাদের দেহের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গিয়ে শিশু খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই আঠালো আবরণ চুল থেকে মুছে দিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। এ জন্য চুল কাটানোর প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন
এ সময়ে শিশুর জ্বর হলে কী করবেন
তবে চুল কাটাতে চাইলে শিশুর তিন মাস বয়সে কাটানো ভালো। কারণ, এই তিন মাসের মধ্যেই শিশু একটু বড় হয় এবং তার পুরোনো চুল ঝরেও যায়। তিন মাস বয়সে না কাটালে, এক বছর বয়সেও চুল কাটাতে পারবেন।

প্রকৃতপক্ষে বাইরের বিরূপ আবহাওয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করে। এটি শিশুর দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, শিশুর দেহ সহজে ঠান্ডা হয়ে যায় না। শিশুদের মস্তিষ্ক তাদের দেহের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গিয়ে শিশু খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই আঠালো আবরণ চুল থেকে মুছে দিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। এ জন্য চুল কাটানোর প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন
এ সময়ে শিশুর জ্বর হলে কী করবেন
তবে চুল কাটাতে চাইলে শিশুর তিন মাস বয়সে কাটানো ভালো। কারণ, এই তিন মাসের মধ্যেই শিশু একটু বড় হয় এবং তার পুরোনো চুল ঝরেও যায়। তিন মাস বয়সে না কাটালে, এক বছর বয়সেও চুল কাটাতে পারবেন।

Tag : Bangladesh Diplomat, bd diplomat

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট

Bangladesh Diplomat | বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট | A Popular News Portal Of Bangladesh.

জন্মের পরই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া কি ঠিক

Update Time : ০২:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

শিশুদের চুল কাটা নিয়ে অভিভাবকের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। নবজাতকের ক্ষেত্রে চিন্তা আরও বেশি। মনে রাখতে হবে, শিশুর শরীরের একটি বড় অংশ তার মাথা। মাথার চুল এই অংশকে ঢেকে রাখে, যার কারণে শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ সহজে বের হয়ে যেতে পারে না। চুলের মাধ্যমে শিশুর শরীরে তাপমাত্রা বজায় থাকে। তাই বলা হয়, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া ঠিক নয়।

এতে হঠাৎ শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ বের হয়ে দেহের তাপমাত্রা কমে বিপদ হতে পারে। অনেক সময় মনে করা হয়, মায়ের গর্ভে থাকাকালে শিশুর চুলে যে আঠালো পদার্থ লেগে থাকে, তা পরিষ্কার করার জন্য শিশুর চুল কাটা প্রয়োজন। কিন্তু ওই আঠালো পদার্থ

শিশুদের চুল কাটা নিয়ে অভিভাবকের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। নবজাতকের ক্ষেত্রে চিন্তা আরও বেশি। মনে রাখতে হবে, শিশুর শরীরের একটি বড় অংশ তার মাথা। মাথার চুল এই অংশকে ঢেকে রাখে, যার কারণে শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ সহজে বের হয়ে যেতে পারে না। চুলের মাধ্যমে শিশুর শরীরে তাপমাত্রা বজায় থাকে। তাই বলা হয়, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া ঠিক নয়।

এতে হঠাৎ শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ বের হয়ে দেহের তাপমাত্রা কমে বিপদ হতে পারে। অনেক সময় মনে করা হয়, মায়ের গর্ভে থাকাকালে শিশুর চুলে যে আঠালো পদার্থ লেগে থাকে, তা পরিষ্কার করার জন্য শিশুর চুল কাটা প্রয়োজন। কিন্তু ওই আঠালো পদার্থ প্রকৃতপক্ষে বাইরের বিরূপ আবহাওয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করে। এটি শিশুর দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, শিশুর দেহ সহজে ঠান্ডা হয়ে যায় না। শিশুদের মস্তিষ্ক তাদের দেহের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গিয়ে শিশু খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই আঠালো আবরণ চুল থেকে মুছে দিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। এ জন্য চুল কাটানোর প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন
এ সময়ে শিশুর জ্বর হলে কী করবেন
তবে চুল কাটাতে চাইলে শিশুর তিন মাস বয়সে কাটানো ভালো। কারণ, এই তিন মাসের মধ্যেই শিশু একটু বড় হয় এবং তার পুরোনো চুল ঝরেও যায়। তিন মাস বয়সে না কাটালে, এক বছর বয়সেও চুল কাটাতে পারবেন।

প্রকৃতপক্ষে বাইরের বিরূপ আবহাওয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করে। এটি শিশুর দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, শিশুর দেহ সহজে ঠান্ডা হয়ে যায় না। শিশুদের মস্তিষ্ক তাদের দেহের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গিয়ে শিশু খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই আঠালো আবরণ চুল থেকে মুছে দিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। এ জন্য চুল কাটানোর প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন
এ সময়ে শিশুর জ্বর হলে কী করবেন
তবে চুল কাটাতে চাইলে শিশুর তিন মাস বয়সে কাটানো ভালো। কারণ, এই তিন মাসের মধ্যেই শিশু একটু বড় হয় এবং তার পুরোনো চুল ঝরেও যায়। তিন মাস বয়সে না কাটালে, এক বছর বয়সেও চুল কাটাতে পারবেন।