যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। দুই বছর ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাতে এই চুক্তি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আমি খুব গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই আমাদের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে স্বাক্ষর করেছে। খুব শিগগিরই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েলও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।”
এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারও এই চুক্তির স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক পোস্টে জানান, “চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হবে, জিম্মি ও কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং ত্রাণ সরবরাহে আর কোনো বাধা থাকবে না।”
চুক্তির আলোচনা শুরু হয় ৬ অক্টোবর মিসরের শারম আল শেখ শহরে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, হামাস, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধি দল। এর আগে, ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
প্রথমে হামাস সম্মতি না দিলেও পরে ৩ অক্টোবর তারা চুক্তির পক্ষে মত দেয়। এরপর পরদিন ৪ অক্টোবর ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে উভয় পক্ষ শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করে।
মধ্যপ্রাচ্য সফরের ইঙ্গিতও দিয়েছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, “আলোচনা ভালোভাবেই এগোচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এই সপ্তাহের শেষে আমি হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে যাব। সম্ভবত রোববার।”