বিশ্ব সংস্কৃতি ও শিক্ষাবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ফ্রান্সে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা এ মর্যাদাপূর্ণ পদে নির্বাচিত হন।
এটি বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন, কারণ ইউনেস্কোর সদস্য হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো সংস্থাটির সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে খন্দকার এম তালহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাপানের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত টেকহিরো কানো-এর সঙ্গে। চূড়ান্ত ভোটে খন্দকার তালহা পান ৩০ ভোট, আর জাপানের প্রার্থী পান ২৭ ভোট। মাত্র তিন ভোটের ব্যবধানে জাপানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের প্রতিনিধি বিজয়ী হন।
প্যারিস ও ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরা নিশ্চিত করেছেন, ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতির পদে বাংলাদেশ, জাপান, ভারত ও উত্তর কোরিয়া প্রার্থীতা ঘোষণা করেছিল। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারত ও উত্তর কোরিয়া তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়, ফলে শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে।
নির্বাচনে বাংলাদেশের এ সাফল্যকে কূটনৈতিক অঙ্গনে দেশের একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বের সক্ষমতার আরেকটি স্বীকৃতি হিসেবে এই বিজয়কে বর্ণনা করছেন বিশ্লেষকরা।
ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলন আগামী ৩০ অক্টোবর শুরু হবে উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক শহর সামারকান্দে, সিল্ক রোড কনফারেন্স সেন্টারে। সম্মেলনের কার্যক্রম চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
খন্দকার এম তালহা একজন পেশাদার কূটনীতিক এবং বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি এর আগে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে নিউইয়র্ক, জেনেভা, তেহরান ও লন্ডনে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দক্ষ ভূমিকার জন্য তিনি প্রশংসিত।