গাজাগামী একটি নৌবহর থেকে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শহিদুল আলমকে অপহরণ করেছে দখলদার ইস্রায়েলি বাহিনী—এমন দাবি করেছেন তিনি নিজেই এক ভিডিও বার্তায়।
ভিডিওতে তিনি জানান, তাকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে এবং মিশনে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিগুলোর সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।
শহিদুল বলেন, “আমি শহীদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। যদি আপনি এই ভিডিওটি দেখেন, তাহলে এখনো আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে। আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আমি আমার সকল বন্ধুদের ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এর আগের একটিเฟেসবুক পোস্টে শহিদুল জানিয়েছিলেন যে তারা বুধবার ভোরের দিকে ‘রেড জোন’—অর্থাৎ বিপজ্জনক এলাকায়—পৌঁছাতে পারেন। পোস্টে তিনি ব্যাখ্যা করেন, রেড জোন বলতে তিনি সেই সমুদ্র অঞ্চলের কথা বোঝাচ্ছেন, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরকে আটক করেছিল।
পোস্টে আরও বলা ছিল, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের তুলনায় একটু পিছিয়ে আছি। কারণ ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ নামের নৌবহরে থাকা ছোট ও ধীরগতির নৌযানগুলো যেন পেছনে না পড়ে—তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব জাহাজও ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) অংশ। তবে আমরা সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের তুলনায় অনেক দ্রুত এগিয়েছি। ওই নৌবহর প্রচন্ড বাতাস ও ঝড়ের কারণে সাময়িকভাবে থেমে গিয়েছিল।’ তিনি জানান যে ধীরগতির নৌযানগুলো তাদের সঙ্গে সমকাতারে এসেছে এবং তারা রেড জোন থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে আছেন—সেই অঞ্চল যেখানে আগে ফ্লোটিলার নৌযানগুলোকে আটক করা হয়েছিল।
এই ঘটনার বর্তমান অবস্থান, সরকারের প্রতিক্রিয়া বা আন্তর্জাতিক সূত্র থেকে নিশ্চিতকরণ এখনো পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সুত্র থেকে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া মাত্র সংবাদ সম্প্রসারণ ও আপডেট করা হবে।