বিয়ে মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও সুস্থ, শান্ত এবং সুখী করে তোলে—এমনটাই জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের গবেষকদের এক যৌথ গবেষণা। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান (যুক্তরাষ্ট্র) এবং সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, বৈবাহিক সম্পর্ক মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রকাশিত গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের প্রায় পাঁচ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ হাজার ৫০৫ জন এবং জাপানের ৭১০ জন ছিলেন বিবাহিত। অবিবাহিত ছিলেন যথাক্রমে ৩০৮ ও ১৬৪ জন।
গবেষণায় দেখা যায়, বিবাহিতরা তুলনামূলকভাবে বেশি মানসিক স্বস্তি, শারীরিক সুস্থতা এবং পরিপূর্ণতা অনুভব করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণকারীরা জানান, পরিবার থেকে তারা বেশি মানসিক সহায়তা পান, যা তাদের সুখ বাড়ায়।
অন্যদিকে, অবিবাহিত ব্যক্তিরা সামাজিক ও পারিবারিক চাপের মুখে থাকেন, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনেকেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও একাংশ জানান, এতে একাকিত্ব এবং মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়।
বিশেষ করে জাপানের সামাজিক কাঠামোয় এখনো বিবাহিত জীবনকে একটি ‘আদর্শ’ বা মানদণ্ড হিসেবে দেখা হয়। গবেষকরা সতর্ক করে বলেন, দীর্ঘ সময় এই চাপ সহ্য করলে তা ভবিষ্যতে একাকিত্ব ও হতাশার কারণ হতে পারে।
তবে গবেষণা আরও বলছে, অবিবাহিতরাও নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে মানসিক প্রশান্তি পেতে পারেন, কিন্তু সামাজিক স্বীকৃতির দিক থেকে এখনো অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। বিশেষ করে এশীয় সমাজে অবিবাহিত অবস্থাকে অনেক সময় ‘অসম্পূর্ণ’ জীবনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা ব্যক্তির ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
গবেষকদের মতে, এ কারণেই এখনো অনেক সংস্কৃতিতে বিয়ে একটি স্থিতি, নিরাপত্তা ও মানসিক প্রশান্তির প্রতীক।