যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা চলতে থাকলেও থেমে নেই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। সোমবার (৬ অক্টোবর) মিসরের শারম এল শেখ-এ চলমান শান্তি আলোচনার দিনেই গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ জন খাদ্য ও ত্রাণ সংগ্রহের সময় প্রাণ হারান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মতি জানায় ইসরায়েল এবং গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস। প্রস্তাব অনুযায়ী, গত ৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধের নির্দেশ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তবে গাজার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরেও গত তিন দিনে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০৪ জন ফিলিস্তিনি। সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে।
এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান দাবি করেন, হামলা নয় বরং গাজায় ‘রক্ষণাত্মক’ অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
একই দিনে শারম এল শেখ-এ শুরু হয়েছে বহুপাক্ষিক শান্তি আলোচনা। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। আলোচনায় মূলত ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয় বলে জানায় মিসরের দৈনিক ‘আল কাহেরা নিউজ’।
আজ ৭ অক্টোবর। দুই বছর আগে এই দিনে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। ওই ঘটনার প্রতিশোধে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা চলছেই।
গত দুই বছরে এই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন।




















