8:40 am, Thursday, 9 October 2025

আসাদ পতনের পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ

আসাদ পতনের পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

দীর্ঘ সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। আজকের এই নির্বাচন দেশটির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে, কারণ ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল আসাদের পতনের পর এবারই প্রথম ভোট হচ্ছে।

তবে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নয়—দেশটির জনগণ এরইমধ্যে একটি ইলেকটোরাল কলেজ বা নির্বাচনী পরিষদ নির্বাচিত করেছে, যারা পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ২১০টি আসনের মধ্যে বেশিরভাগ সদস্য নির্বাচন করবে। বাকি সদস্যদের নিয়োগ দেবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।

প্রায় ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর, মাত্র ১০ মাস আগে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে আল-শারার অধীনে আসাদের পতন ঘটে। এরপরই গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এবার সে সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নতুন পার্লামেন্ট গঠনের উদ্যোগ।

তবে এই পরোক্ষ ভোট প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সমালোচনা রয়েছে ব্যাপক। অনেক ভোটারই একে অগণতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রিত মনে করছেন।

উল্লেখ্য, গত মার্চে জারি হওয়া নতুন সাংবিধানিক ঘোষণায় ইসলামি আইনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হলেও নারীর অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তবুও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে করে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং অন্যান্য কট্টরপন্থী গোষ্ঠী অতিরিক্ত রাজনৈতিক প্রভাব অর্জন করতে পারে।

সিরিয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হলেও, কতটা গণতান্ত্রিক বা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে, তা নিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও গভীর দৃষ্টি।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

আসাদ পতনের পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ

Update Time : 12:12:01 pm, Sunday, 5 October 2025

দীর্ঘ সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। আজকের এই নির্বাচন দেশটির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে, কারণ ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল আসাদের পতনের পর এবারই প্রথম ভোট হচ্ছে।

তবে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নয়—দেশটির জনগণ এরইমধ্যে একটি ইলেকটোরাল কলেজ বা নির্বাচনী পরিষদ নির্বাচিত করেছে, যারা পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ২১০টি আসনের মধ্যে বেশিরভাগ সদস্য নির্বাচন করবে। বাকি সদস্যদের নিয়োগ দেবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।

প্রায় ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর, মাত্র ১০ মাস আগে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে আল-শারার অধীনে আসাদের পতন ঘটে। এরপরই গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এবার সে সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নতুন পার্লামেন্ট গঠনের উদ্যোগ।

তবে এই পরোক্ষ ভোট প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সমালোচনা রয়েছে ব্যাপক। অনেক ভোটারই একে অগণতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রিত মনে করছেন।

উল্লেখ্য, গত মার্চে জারি হওয়া নতুন সাংবিধানিক ঘোষণায় ইসলামি আইনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হলেও নারীর অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তবুও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে করে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং অন্যান্য কট্টরপন্থী গোষ্ঠী অতিরিক্ত রাজনৈতিক প্রভাব অর্জন করতে পারে।

সিরিয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হলেও, কতটা গণতান্ত্রিক বা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে, তা নিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও গভীর দৃষ্টি।