10:28 am, Thursday, 9 October 2025

একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলার ৯টি নৌযান

একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলার ৯টি নৌযান। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহরে থাকা কনশানস নামের একটি কনশানস নৌযান সামনের থাকতে থাকা অন্যান্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। কনশানসের গতি বেশি হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পরবর্তীতে জাহাজটির গতি কমিয়ে সব নৌযান একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে এই খবর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, যিনি কনশানসে রয়েছেন।

শহিদুল আলমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কনশানস জাহাজটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড মাদলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর গাজা অভিমুখে রওনা করে। তিনি বলেন, কনশানস বহরে অংশ নেয় সবচেয়ে বড় জাহাজটি, যা ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে রওনা হয়। পরে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সুমুদ ফ্লোটিলার আগের জাহাজগুলোকে আইডিএফ আটক করেছে; প্রথমে ধরা না পড়া একটি জাহাজকেও পরে আটক করা হয়েছে।

শহিদুল লিখেছেন, “থাউজেন্ড মাদলিনস একটি অসাধারণ ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক নেতাদের অনির্বাণ ও কপট ভূমিকার কারণে মানুষ নিজ উদ্যোগে পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাজারও জাহাজের এককরণ প্রতীকী হলেও এটি সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, কনশানসের ঠিক আগে আরও আটটি নৌকা যাত্রা করেছিল এবং ফ্লোটিং ফ্রিডম কোয়ালিশনের আরও দুই নৌকাও ছিল, যদিও তাদের অবস্থান সম্পর্কে এখন নিশ্চিত নয়।

গাজার অবরোধ ভাঙার দৃঢ় প্রত্যাশা প্রকাশ করে শহিদুল আলম বলেন, “আমরা কনশানসে থাকা সবাই অবরোধ ভাঙতে বদ্ধপরিকর। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। কোনো অত্যাচারীই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারে না। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।”

নিবন্ধনে বলা হয়েছে, এখন সব নৌযান একসঙ্গে গাজা অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে তৎক্ষণাৎ আরও তথ্য পাওয়া গেলে তা জানানো হবে—এমনটাই জানিয়েছেন শহিদুল আলম।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলার ৯টি নৌযান

Update Time : 07:33:27 pm, Saturday, 4 October 2025

সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহরে থাকা কনশানস নামের একটি কনশানস নৌযান সামনের থাকতে থাকা অন্যান্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। কনশানসের গতি বেশি হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পরবর্তীতে জাহাজটির গতি কমিয়ে সব নৌযান একসঙ্গে গাজা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে এই খবর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, যিনি কনশানসে রয়েছেন।

শহিদুল আলমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কনশানস জাহাজটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড মাদলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর গাজা অভিমুখে রওনা করে। তিনি বলেন, কনশানস বহরে অংশ নেয় সবচেয়ে বড় জাহাজটি, যা ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে রওনা হয়। পরে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সুমুদ ফ্লোটিলার আগের জাহাজগুলোকে আইডিএফ আটক করেছে; প্রথমে ধরা না পড়া একটি জাহাজকেও পরে আটক করা হয়েছে।

শহিদুল লিখেছেন, “থাউজেন্ড মাদলিনস একটি অসাধারণ ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক নেতাদের অনির্বাণ ও কপট ভূমিকার কারণে মানুষ নিজ উদ্যোগে পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাজারও জাহাজের এককরণ প্রতীকী হলেও এটি সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, কনশানসের ঠিক আগে আরও আটটি নৌকা যাত্রা করেছিল এবং ফ্লোটিং ফ্রিডম কোয়ালিশনের আরও দুই নৌকাও ছিল, যদিও তাদের অবস্থান সম্পর্কে এখন নিশ্চিত নয়।

গাজার অবরোধ ভাঙার দৃঢ় প্রত্যাশা প্রকাশ করে শহিদুল আলম বলেন, “আমরা কনশানসে থাকা সবাই অবরোধ ভাঙতে বদ্ধপরিকর। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। কোনো অত্যাচারীই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারে না। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।”

নিবন্ধনে বলা হয়েছে, এখন সব নৌযান একসঙ্গে গাজা অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে তৎক্ষণাৎ আরও তথ্য পাওয়া গেলে তা জানানো হবে—এমনটাই জানিয়েছেন শহিদুল আলম।