ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরারের কবর জিয়ারত করেন ডাকসু ভিপি ও সদস্যরা।
জিয়ারত শেষে নেতারা আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মতবিনিময় করেন। উপস্থিত ছিলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, কার্যনির্বাহী সদস্য তাজিনুর রহমান ও রায়হান উদ্দীন। এ সময় শহীদ আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ-ও উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “শহীদ আবরার ফাহাদ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, প্রেরণার বাতিঘর। তিনি ভারতের অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক দাসত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। তার দেখানো পথেই জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “৭ অক্টোবর শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাত বার্ষিকীকে ‘জাতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানাচ্ছি।”
ডাকসু নেতারা বলেন, আবরারের আত্মত্যাগ আমাদের জাতীয় জীবনে পরিবর্তনের স্লোগান হয়ে থাকবে। জুলাই মাসে যারা শহীদ হয়েছেন, তারাও আবরারের আদর্শেই অনুপ্রাণিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে নিজ কক্ষে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরার ফাহাদকে। হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ছিল ছাত্রলীগের একাংশ। আবরার তার ফেসবুক পোস্টে ভারতীয় আধিপত্যবাদের সমালোচনা করেছিলেন, যা হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখা হয়।