যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা মুসলিম দেশগুলোর প্রস্তাবিত খসড়ার প্রতিলিপি নয় বলে স্পষ্ট করেছেন পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে বক্তব্যকালে তিনি এই মন্তব্য করেন, খবর জিও নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে।
ইসহাক দার বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ২০ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন, তা আমাদের নয়, আমাদের খসড়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ ও ওআইসি ব্যর্থ হওয়ায় মুসলিম দেশগুলো শেষ আশার প্রতীক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছিল।
ট্রাম্পের ঘোষিত পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীকে গাজা থেকে প্রত্যাহার, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এই পরিকল্পনা কয়েকটি মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর উন্মোচিত হয়েছে বলে বলা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছিলেন; তবে পরে পাকিস্তান কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখে বলে ইসহাক দার জানান। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, শেহবাজ শরিফ কেবল ট্রাম্পের একটি টুইটের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন।
ইসহাক দার বলেন, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বেশ কিছু প্রস্তাব গ্রহণ করেছে — তবে বাকি বিষয়ে আলোচনা অথবা পুরো ২০ দফা বাস্তবায়নের মধ্যে দু’টি বিকল্প ছিল; পাকিস্তান দ্বিতীয় বিকল্পটিকেই সমর্থন করেছে।
পাকিস্তানিরা স্থির‑স্তম্ভ বলে জানান, তাদের ফিলিস্তিন নীতি কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সময় থেকে যেমন ছিল, তেমনটাই আছে এবং ভবিষ্যতেও বদলাবে না, দীর্ঘমেয়াদি এমনই দৃষ্টিভঙ্গি তারা বজায় রাখবে বলে সংসদে আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ ছাড়া ইসহাক দার জানান, গাজায় সাহায্য বহনকারী ফ্লোটিলা আটককৃতদের মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদও রয়েছেন। তিনি বলেছেন, সমস্যা মেটাতে একটি ইউরোপীয় দেশের মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে।