6:56 am, Thursday, 9 October 2025

‎ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ‎সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি

‎ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ‎সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

সরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইয়ুথ সিনার্জি অ্যালায়েন্স (বিওয়াইএসএ)।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত ‘প্রটেক্ট ফ্লোটিলা-ফ্রি প্যালেস্টাইন’ শীর্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

‎দখলদার-গণহত্যাকারী ইসরাইল কর্তৃক আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ত্রাণবাহী নৌকার বহরে আক্রমণ ও অবৈধভাবে মানবাধিকার কর্মীদের আটক এবং ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইয়ুথ সিনার্জি অ্যালায়েন্স এই আয়োজন করে।

পরিবেশ, জলবায়ু, মানবাধিকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা এবং স্বেচ্ছাসেবীসহ ৭০টি সংগঠনের সংহতি ও অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচি থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো- ১. গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ২. আটক সব স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীকে মুক্তি এবং অবরোধ ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৩. ফিলিস্তিনের নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান এবং অনতিবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ৪. ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে ঔপনিবেশমুক্ত করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে ৫. আইডিএফকে টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

‎প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন কর্তৃক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কনভয়ের ত্রাণবাহী ৪৪টি দেশের ৫০০ নাগরিক ৪০টি নৌকায় ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এটি একটি শান্তিপূর্ণ, অহিংস এবং মানবিক যাত্রা, যার উদ্দেশ্য গাজা অবরোধ ভাঙা, মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং জনগণনির্ভর মানবিক করিডোর গড়ে তোলা। কিন্তু এই কনভয়ে ২ অক্টোবর ইসরাইল হামলা করে ও পরবর্তীতে মানবাধিকার কর্মীদের অপহরণ করে আটক করে। এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার এবং সামুদ্রিক স্বাধীনতার লঙ্ঘন।

‎বক্তারা আরও বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা একটি মানবিক যাত্রা, যেখানে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এর ওপর হামলা এবং কর্মীদের আটক নিছক একটি দখলদার ইসরাইলের গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, ফিলিস্তিনের মানুষ একা নয়। ফ্লোটিলা আমাদের মানবিক দায়বদ্ধতার প্রতীক। দখলদারী শক্তি যতই বাধা দিক, আমরা ন্যায়, মানবতা ও স্বাধীনতার পক্ষে সংহতি প্রকাশ এবং লড়াই চালিয়ে যাব।

‎প্রতিবাদ সমাবেশের একপর্যায়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ওপর ইসরাইলের হামলা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। মিছিলটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড় ঘুরে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধরা নানা প্রতিবাদী শ্লোগান দেন।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

Popular Post

‎ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ‎সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি

Update Time : 07:06:30 pm, Friday, 3 October 2025

সরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইয়ুথ সিনার্জি অ্যালায়েন্স (বিওয়াইএসএ)।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত ‘প্রটেক্ট ফ্লোটিলা-ফ্রি প্যালেস্টাইন’ শীর্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

‎দখলদার-গণহত্যাকারী ইসরাইল কর্তৃক আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ত্রাণবাহী নৌকার বহরে আক্রমণ ও অবৈধভাবে মানবাধিকার কর্মীদের আটক এবং ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইয়ুথ সিনার্জি অ্যালায়েন্স এই আয়োজন করে।

পরিবেশ, জলবায়ু, মানবাধিকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা এবং স্বেচ্ছাসেবীসহ ৭০টি সংগঠনের সংহতি ও অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচি থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো- ১. গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ২. আটক সব স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীকে মুক্তি এবং অবরোধ ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৩. ফিলিস্তিনের নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান এবং অনতিবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ৪. ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে ঔপনিবেশমুক্ত করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে ৫. আইডিএফকে টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

‎প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন কর্তৃক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কনভয়ের ত্রাণবাহী ৪৪টি দেশের ৫০০ নাগরিক ৪০টি নৌকায় ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এটি একটি শান্তিপূর্ণ, অহিংস এবং মানবিক যাত্রা, যার উদ্দেশ্য গাজা অবরোধ ভাঙা, মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং জনগণনির্ভর মানবিক করিডোর গড়ে তোলা। কিন্তু এই কনভয়ে ২ অক্টোবর ইসরাইল হামলা করে ও পরবর্তীতে মানবাধিকার কর্মীদের অপহরণ করে আটক করে। এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার এবং সামুদ্রিক স্বাধীনতার লঙ্ঘন।

‎বক্তারা আরও বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা একটি মানবিক যাত্রা, যেখানে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এর ওপর হামলা এবং কর্মীদের আটক নিছক একটি দখলদার ইসরাইলের গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, ফিলিস্তিনের মানুষ একা নয়। ফ্লোটিলা আমাদের মানবিক দায়বদ্ধতার প্রতীক। দখলদারী শক্তি যতই বাধা দিক, আমরা ন্যায়, মানবতা ও স্বাধীনতার পক্ষে সংহতি প্রকাশ এবং লড়াই চালিয়ে যাব।

‎প্রতিবাদ সমাবেশের একপর্যায়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ওপর ইসরাইলের হামলা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। মিছিলটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড় ঘুরে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধরা নানা প্রতিবাদী শ্লোগান দেন।