ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র সঙ্গে সফরে যোগ দিয়েছেন সংবাদকর্মী ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানান, তারা ত্রাণ নেবার জন্য নয়—অবৈধ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্য নিয়ে গাজার দিকে যাচ্ছেন।
শহিদুল জানান, তারা ফ্লোটিলার মূল বহরের থেকে আলাদা অবস্থানে রয়েছেন এবং বর্তমানে তাদের জাহাজসহ মোট ৯টি যানবাহন মুক্ত রয়েছে। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “সুমুদ ফ্লোটিলায় যারা গিয়েছিলেন, তারা ভিন্নভাবে গিয়েছিলেন। আমরা আলাদাভাবে যাচ্ছি… আমরা ত্রাণের জন্য যাচ্ছি না। আমরা একটা অবৈধ অবরোধকে ভাঙব।”
ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, তাদের জাহাজটি সবচেয়ে বড় এবং তাদের সঙ্গে আটটি ছোট নৌকা পাড়ি দেয়ার পর বর্তমানে ওই নৌকাগুলোও তাদের সঙ্গে রয়েছে। শহিদুল জানান, তারা ফিলিস্তিনি টাইম জোনে প্রবেশ করেছে এবং যদিও এখনো গাজা পর্যন্ত দূরত্ব আছে, তারা সিদ্ধান্তপ্রণত — কোনো বাধাই তাদের পথে বাধা দিতে পারবে না।
শহিদুল বলেন, জাহাজটিতে অনেক সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মী আছেন। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলের করা হত্যাকাণ্ড ও সাংবাদিক ও চিকিৎসকবৃন্দের হত্যার প্রতিবাদ দেখাতেই তারা গাজার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। বিশেষ করে গত রাতে মেডিসিন সান ফ্রন্টিয়ার্সের (এমএএফ) ১৪ জন চিকিৎসককে হত্যা করার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি—এখন কথার সময় পেরিয়ে গেছে, এখন লড়াইয়ের সময়।”
ভিডিও বার্তার ক্যাপশনে শহিদুল লিখেছেন, তারা জয়ী হবে এবং “ফিলিস্তিন মুক্ত হবে” — তিনি সমুদ্রের অবস্থা, নিজের শারীরিক অবস্থার কথাও তুলে ধরেন; গতকাল সমুদ্র খারাপ থাকায় তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তবে এখন পুরো চাঙ্গা আছেন এবং লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।
শহিদুলের ভিডিও বার্তার কিছুক্ষণ পরেই শোনা যায়, ফ্লোটিলার অন্য জাহাজগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ আসে।