গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক মানবিক মিশন ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-তে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইউরোপ থেকে লাতিন আমেরিকা— অনেক দেশেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
বুধবার (১ অক্টোবর) গভীর রাতে ভূমধ্যসাগরে গাজার উদ্দেশে যাত্রারত ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযানে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি নৌসেনারা সেগুলো থামিয়ে দেয়। পরে মানবাধিকার কর্মী, চিকিৎসক, রাজনীতিক ও সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটককৃতদের একটি নৌবন্দরে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
ইসরায়েলি হামলার ফলে ফ্লোটিলা থেকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় ঘটনাস্থলেই।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তুরস্ক এটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ব্রিটিশ রাজনীতিক জেরেমি করবিন বলেছেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। অন্যদিকে, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে ‘অপহরণ’ বলে অভিহিত করেছে।
বাংলাদেশের আলোকচিত্রী, সমাজকর্মী ও শিল্পী শহিদুল আলম এই ঐতিহাসিক মিশনে অংশ নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি। তিনি ফেসবুক লাইভে ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের বিষয়ে জানান।
ঘটনার প্রতিবাদে ইতালির রোমে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। দেশটির সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন আগামী শুক্রবার সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে। এছাড়া জার্মানি, তুরস্ক, স্পেন ও গ্রিস-সহ আরও অনেক দেশে বিক্ষোভ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নিয়েছে ৪৫টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান, যাতে রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন মানবিক কর্মী, রাজনীতিক ও আইনপ্রণেতা। এই মিশনের লক্ষ্য ছিল গাজার ওপর আরোপিত অবরোধ ভেঙে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।