জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত প্রথম উচ্চ পর্যায়ের রোহিঙ্গা বিষয়ক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ও যুক্তরাজ্য ৩৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বলে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ। বুধবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনেই এ ঘোষণা আসে।
এর আগে, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটের মূল উৎস মিয়ানমারে, সমাধানও সেখানেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমার সরকার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন নির্যাতন বন্ধ হয় এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “গণহত্যা শুরু হওয়ার আট বছর পরও রোহিঙ্গারা চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। সংকট নিরসনে কার্যকর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এবং অর্থায়নের ঘাটতি রয়ে গেছে।” তিনি রোহিঙ্গাদের টেকসই সহায়তার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা বর্তমানে আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অনুদান সংকট মোকাবিলায় কিছুটা স্বস্তি এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।