বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কারের উদ্যোগের প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন গুতেরেস।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন— পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান সচিব সিরাজ উদ্দিন মিঞা এবং এসডিজি কোঅর্ডিনেটর লামিয়া মোরশেদ।
বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল— রাজনৈতিক সংস্কার, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি, জুলাইয়ের ঘটনার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জবাবদিহিতা, বৈশ্বিক বাণিজ্যে সুরক্ষামূলক শুল্ক ব্যবস্থা, ও আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনের আয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, “আগামী কয়েক মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নির্বাচনের জন্য আপনার সমর্থন প্রয়োজন।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিতাড়িত সরকার ও তাদের বিদেশি মিত্ররা নির্বাচন বানচাল করতে চুরিকৃত অর্থ ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়।
জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে, তিনি রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য জাতিসংঘের চলমান প্রচেষ্টার কথাও পুনরায় উল্লেখ করেন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার গত ১৪ মাসের সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “এই কঠিন রূপান্তরে আপনার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনের জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, এই সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বজনীন আলোচনার কেন্দ্রে রাখবে ও জরুরি মানবিক সহায়তার তহবিল সংগ্রহে সহায়ক হবে।