পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিহত ১৭ জনের একজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলার শাহ সেলিম থানার কাছে এ অভিযান চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভির বরাতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র, নগদ অর্থ ও ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।
পাক সেনাবাহিনীর দাবি, আফগান সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সদস্যদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি) এবং কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানটি চলে টানা দুইদিন। পাহাড়ি এলাকা ঘিরে ফেলে ১৭ জন টিটিপি সদস্যকে হত্যা করা হয় এবং আরও ১০ জন আহত হয়। অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যও আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত বাংলাদেশি যুবক ধর্মীয় শিক্ষার অজুহাতে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হন বলে দাবি করা হয়েছে।
এ ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে বিদেশি নাগরিকদের, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।