ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কিংবা ন্যাটো সদস্য কোনো রাষ্ট্রে হামলার কোনো পরিকল্পনা বা আগ্রহ রাশিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ আগ্রাসন চালালে তার ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন ল্যাভরভ।
তিনি বলেন, “পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের হুমকি এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিন বহুবার স্পষ্ট করে বলেছেন, রাশিয়ার কখনও ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর হামলার কোনো ইচ্ছা ছিল না, এখনও নেই।”
জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে ল্যাভরভ আরও বলেন, রাশিয়া হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার নিন্দা করেছিল, তবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নৃশংসতার কোনো সমর্থন মস্কো দেয় না।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের ভূমি দখলের পরিকল্পনারও কড়া সমালোচনা করে ল্যাভরভ বলেন, “ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিন নয়, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর ওপরও বিমান হামলা চালাচ্ছে। হামাস নির্মূলের অজুহাতে পুরো অঞ্চলকে বিস্ফোরণের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”
ইরান প্রসঙ্গে ল্যাভরভ অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলো কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে তুলছে। তিনি বলেন, “রাশিয়া ও চীনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর হবে রোববার রাত ১২টা থেকে।