বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনঃস্থাপন না করলে সংকট আরও গভীর হবে।
শনিবার রমনায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনার ‘সংস্কার ও নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে আমীর খসরু বলেন, ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা দেখায় দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করা দেশগুলোই উন্নত অবস্থানে পৌঁছেছে। অপরদিকে দীর্ঘ সময় নির্বাচন বিলম্বিত করলে গৃহযুদ্ধ, সামাজিক বিভক্তি ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা গেছে। গত ১৫-১৬ বছরে একটি প্রতিনিধিত্বহীন সরকার দেশের ক্ষমতায় থাকার প্রতিক্রিয়ায় আজকের সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জনান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন—শেখ হাসিনার স্বৈরাচ্য পতনের ১৪ মাস পরও কেন সংস্কার নিয়ে এমন তর্ক চলছে; কারণ এখনও দেশকে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার মেলেনি।
সেমিনারে ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশ চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, এবং বিশিষ্ট শিক্ষক, গবেষক ও সাংবাদিকরা।
নিজ বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, জনগণের অধিকার ও প্রতিনিধিত্বশীলতার অভাবই মূল সমস্যা। তিনি জানান, বিএনপি নয় বছর আগে ‘ভিশন ২০৩০’ এবং পরে ২৭ দফা ও ৩১ দফার মাধ্যমে তাদের সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করেছে। তবে এখন চলছে যে এক্সারসাইজ—তাতে লাভের চেয়ে বিভ্রান্তি বেশি বাড়ছে বলে সতর্ক করেন তিনি। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে বিভক্তি গড়ে উঠবে—এরকম দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
এর বাইরে, তিনি বলেন বিএনপি শুধু রাজনীতিক ক্ষেত্রেই নয়, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া সব সেক্টরেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে। সরকার পরিবর্তনের পর দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ দিয়ে ১০০-১৮০ দিনের মধ্যে ফল দেখাতে চাইলে এখন থেকেই প্রতিটি দলের বিস্তারিত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকা জরুরি। তিনি বলেন, “আগে নির্বাচন, বিলম্ব করলে সংকট বাড়বে”—এটাই তাদের মূল দাবি।