বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুতে তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন এমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে ওয়াইসি সম্প্রতি এক সভায় দলনেতার ওপর প্রতিহিংসাপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করে বলেছেন, বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই—বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকায় না—আর দিল্লিতে যদি কেউ থাকেন, তাহলে মোদিজি তাকে সেখানে এনে বিহারে নামিয়ে দেবেন, আমরা তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেব।
ওয়াইসির ওই মন্তব্যকে অনেকেই বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিতমুখী হিসেবে বলছেন; সূত্রে বলা হয়েছে, তিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ঢাকায় বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করে দিল্লিতে বসবাস শুরু করেছেন—এই প্রেক্ষিতও ওয়াইসির ব্যঙ্গাত্মক কণ্ঠে উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, মোদির পূর্ণিয়া সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে গত সপ্তাহে দাবি করা হয়েছিল কংগ্রেস ও আরজেডি ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ আশ্রয় দিচ্ছে—তাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তর্ক তীব্র হয়েছে। মোদি বারবার অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ তুলে বলছেন, তাদের উপস্থিতি জনসংখ্যাগত ও নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করছে এবং তিনি সব অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, যদি ধরে নেওয়া হয় বিহারে অনুপ্রবেশকারীরা আছেন, তাহলে প্রশ্ন উঠেছে—এত বছর কেন সে তালিকা-সংরক্ষণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? তিনি মনে করান, কেন্দ্রীয় সরকার ১১ বছর ক্ষমতায় এবং বিহারে জোট দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় ছিল।
এই বিতর্ক আরও জ্বালিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ; কমিশন বলছে স্বচ্ছতা ফেরাতে এগোচ্ছে, কিন্তু বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন এটি দরিদ্র ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার হরণে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোটার তালিকায় নেপালি, বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের কিছু নাম থাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য রাজনৈতিক আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করছে—বিহারের ভোটযুদ্ধকে আরও সংবেদনশীল করেছে এই ইস্যু।