যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন খাতে মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শরিফ কৃষি, প্রযুক্তি, খনিশিল্প ও জ্বালানি খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আসিম মুনির একজন অসাধারণ মানুষ, আর প্রধানমন্ত্রীও তাই।
গাজা প্রসঙ্গ
আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। পাকিস্তান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন শাহবাজ শরিফ।
প্রেক্ষাপট
এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক দিনের মধ্যেই। এটি ছিল শরিফের প্রথম হোয়াইট হাউস সফর। এর আগে ২০১৯ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আতিথ্য দিয়েছিলেন।
চলতি বছর এর আগে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসিম মুনিরের সঙ্গে একক বৈঠক করেছিলেন, যা নজিরবিহীন হিসেবে বিবেচিত হয়।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকটি ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর তোলা ছবিতে দেখা যায়, ট্রাম্প হাসিমুখে তার স্বাক্ষরধর্মী ‘থাম্বস-আপ’ ভঙ্গি করছেন।
বর্তমানে শাহবাজ শরিফ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি নিউইয়র্কে ট্রাম্প আয়োজিত বহুপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন, যেখানে মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নোবেল মনোনয়ন প্রসঙ্গ
পাকিস্তান ইতোমধ্যেই ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। ভারত-পাকিস্তান সংকটে তাঁর ‘সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক ভূমিকা’র স্বীকৃতি হিসেবেই এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যদিও ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল, তবে নয়াদিল্লি বলছে— যুদ্ধবিরতি হয়েছিল দুই দেশের সেনাপ্রধান পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস