‘ইনোভেশন কনসাল্টিং’র জরিপে দেখা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন ৪১.১%, জামায়াতের ৩০.৩%, কার্যক্রম স্থগিত আওয়ামী লীগের ১৮.৮% এবং এনসিপির ৪.১%। জরিপ অনুযায়ী, বয়স বাড়ার সঙ্গে বিএনপির সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তরুণদের মধ্যে জামায়াত জনপ্রিয়।
সমর্থনের হার (সেপ্টেম্বর ২০২৫):
* বিএনপি: ৪১.১%
* জামায়াতে ইসলামী: ৩০.৩%
* আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম স্থগিত): ১৮.৮%
* এনসিপি: ৪.১%
* ইসলামি আন্দোলন: ৩.৯%
* জাতীয় পার্টি: ০.৯%
জনমত পরিবর্তন (মার্চ–সেপ্টেম্বর ২০২৫):
* বিএনপি: ৪১.৭ → ৪১.৩% (সামান্য বৃদ্ধি)
* জামায়াত: ৩১.৬ → ৩০.৩% (কমেছে)
* আওয়ামী লীগ: ১৪ → ১৮.৮% (বৃদ্ধি)
* এনসিপি: ৫.১ → ৪.১% (হ্রাস)
নির্বাচনের প্রভাব
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না এলে বিএনপির সমর্থন বেড়ে ৪৫.৬%, জামায়াত ৩৩.৫% হবে।
ভোটার বৈশিষ্ট্য:
* বিএনপি সমর্থন মূলত বয়স্ক ভোটারদের মধ্যে বেশি
* জামায়াত সমর্থন তরুণ ও জেন-জি ভোটারের মধ্যে বেশি
* শিক্ষিত ভোটাররা জামায়াতের পক্ষে বেশি, বিএনপির পক্ষে কম
স্থানীয় কার্যক্রমে সন্তুষ্টি
* জামায়াত: ৪৭.৪% সন্তুষ্ট, ১৯.৭% অসন্তুষ্ট
* এনসিপি: ৪০.৭% সন্তুষ্ট, ১৭% অসন্তুষ্ট
* বিএনপি: ৩৯.৪% সন্তুষ্ট, ২৭.৬% অসন্তুষ্ট
* আওয়ামী লীগ: ২৬.১% সন্তুষ্ট, ৩৩.৪% অসন্তুষ্ট
প্রধান ভোটারের প্রত্যাশা:
* ৫৭.৫% আশা করছে আইনশৃঙ্খলা উন্নত হবে
* ৫৪.৬% দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে
* ৪২.৪% কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
* ৩৬.৯% দুর্নীতি প্রতিরোধ
বিশ্লেষণ
জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে। জামায়াত তরুণ ভোটার ও জেন-জি প্রজন্মের সমর্থন ধরে রেখেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থন বেড়েছে, তবে কার্যক্রম স্থগিত থাকায় অসন্তুষ্টিও বেশি। স্থানীয় পর্যায়ে সন্তুষ্টির দিক থেকে জামায়াত এবং এনসিপি এগিয়ে।



















