বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের। সেই সরকারের এমপি ছিলেন সাকিব। আন্দোলন চলাকালীন যখন মুখে কুলূপ এঁটে ছিলেন সাকিব আল হাসান তখন ছাত্ররা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিল। আবার যখন সাকিব তার স্বার্থে সবাইকে কাছে পাওয়ার আকুতি করেছে তখনও ছাত্ররা তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
কিন্তু ফ্যাসিস্টদের দোসর সাকিবকে নিয়ে দরদ যেন উল্টায় পরার মত অবস্থা দেখা যাচ্ছে এক উপস্থাপিকার।
বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই আলোচনা–সমালোচনা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকাকে কেন্দ্র করেই এ সমালোচনার সূত্রপাত। যদিও সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নিজের বক্তব্য ফেসবুকে তুলে ধরেন তিনি। সাকিব সেই ফেসবুক পোস্টে বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফেরার পাশাপাশি ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থন চেয়েছেন।
এদিকে সম্প্রতি মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চত্বরে দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছবি টাঙিয়ে জুতাপেটা করেছেন একদল শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে স্টেডিয়াম এলাকায় সাকিববিরোধী গ্রাফিতি আঁকেন তাঁরা। সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে এমন অবস্থান ভালো লাগেনি উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবণ্য তৌহিদার। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুকে মতামত জানিয়েছেন।
শ্রাবণ্য তৌহিদা দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। পাশাপাশি তিনি খেলার মাঠেও দেশ–বিদেশের বিভিন্ন ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। খেলাকে কেন্দ্র করে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছেন। শ্রাবণ্য তৌহিদা নিজের ফেসবুকে সাকিবের ছবিতে হেনস্তার ঘটনার একটি সংবাদ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি যখন এ ধরনের বাংলাদেশিদের দেখি, তখন খুব দুঃখই লাগে। আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করতাম, আপনাদের কি এতটুকু বুদ্ধি আছে? সে (সাকিব) কি দেশের ক্রিকেটের জন্য কিছুই করেনি?’
শ্রাবণ্য তৌহিদার সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, যাঁদের কেউ সাকিবের পক্ষ নিয়েছেন, কেউ আবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়েছেন।
বিডী/জেডআর